অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সম্প্রতি জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পাবে। আর জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ভোটে প্রয়োজন হবে না। তবে এরই মধ্যে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বাছাই হবে। প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ভোটের তারিখ ১৪ মার্চ। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে এ সময়ের পরই ঘোষণা হবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলুর দাম বৃদ্ধির কারসাজি রোধে ফরিদপুরে আলুর হিমাগার ও আড়তে অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে হিমাগারে ও হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারে এই অভিযানে পরিচালনা করা হয়।
হিমাগারটিতে আলু মজুদের পরিমানসহ ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া ও রশিদ যাচাই বাছাই করা হয়। এসময় আলু বোঝাই একটি পিকআপ চালকের কাছে কোন ধরনের রশিদ না পাওয়ায় সেটি জব্দ করা হয়।
পরে চালক কে অনুসরণ শহরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারে সেই ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে রশিদ বিহীন আলু ক্রয়ের অপরাধে দয়াল ভান্ডারের মালিক কে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: সোহেল শেখ। তিনি বলেন, আলুর হিমাগার ও বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোন ধরনের ক্রয় বিক্রয় রশিদ না পাওয়ায় হিমাগার থেকে একটি আলু বোঝাই পিকআপ জব্দ করা হয়। সেসময় ভোক্তা অধিকারের টিম তাকে সাথে করে ওই ব্যবসায়ীর আড়তে গেলে সেখানেও তার কোন আলু ক্রয়ের রশিদ না থাকায় তাকে জরিমানা করা হয়। আলুর বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় জেলা কৃষি বিপনন অধিপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা মো: সাহাদাত হোসেন, জেলা পুলিশের একটি টিম ও বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের হিমাগারটিতে বর্তমানে ৪শ ৬২ মে.টন আলু মজুদ রয়েছে। ব্যবসায়ী ও মজুদকারীরা হিমাগারটি থেকে সপ্তাতে ৩ দিন আলু বের করে বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করে থাকেন।
আজ ফরিদপুরের বাজারে আলু পাইকারি প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন বাজার ভেদে খুচরা পর্যায়ে সেই আলু প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা সিমের মালিক কে এই তথ্য অনেক সময় জানার প্রয়োজন হয়। তবে এটি একটি গোপনীয় ব্যাপার। শুধুমাত্র নিজের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য জানার কোনো উপায় নেই। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে তা জানতে পারবেন সহজেই। এজন্য ওই সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।
সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে জানার উপায়
নিজের সিম ছাড়া অন্যের সিমের মালিকানা যাচাই করার উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সিমটি কে ব্যবহার করছেন সেটি জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে এগুলো শতভাগ কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে, সে সম্পর্কে একটি ধারনা পেতে পারেন।
এক্ষেত্রে ট্রুকলার নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য মোবাইলে ট্রুকলার অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। এরপর একাউন্ট খুলে সাইন ইন করলেই হবে। তখন সিমের ব্যবহারকারী কে তা দেখতে পাবেন।
মূলত মোবাইলে থাকা সকল নম্বর নামসহ ট্রুকলার অ্যাপের সার্ভারে চলে যায়। ফলে অ্যাপটি ওই সব নম্বরের তথ্য জেনে যায়। মূলত সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অ্যাপটি কাজ করে।
এছাড়া আরো একটি উপায়ে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য প্রথমে ওই সিম নম্বর ফোনে সেভ করুন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাপ ব্যবহার করুন। যদি ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে নাম দেখতে পাবেন। আর যদি ছবি দেওয়া থাকে তাহলে সেটিও দেখতে পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুর শহরের পালবাজার এলাকায় জেনিথ সুইটস এন্ড বেকারি নামে প্রতিষ্ঠানে দধির মধ্যে চুল ও পোকা পাওয়া এবং দুই ডিম বিক্রেতার দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন বাজার তদারকির অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, ডিমের দাম ক্রয়সীমায় রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় বিশেষ বাজার তদারকির অংশ হিসেবে শহরের পুরানবাজার ও পালবাজার এলাকায় ডিমের আড়ৎদার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মূল্য তালিকা, ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয় ভাউচার তদারকি করা হয়। তন্মধ্যে মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স কাউছার ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা, ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ২ হাজার টাকা এবং দধিতে পোকা- চুল পাওয়ায় জেনিথ সুইটস বেকারি মালিককে ১০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। জনস্বার্থে এমন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবককে ডেকে নিয়ে তরুণীর সাথে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও চাঁদা আদায় চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, রবিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো.ইমন (২১) ও একই গ্রামের তাজুল ইসলাম সজিব (২০)।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে-বলেন, মো.আব্দুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন ইমন ও সজিব তাকে মারধর করে নাজনিন সুলতানা প্রিতি নামে এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। এরপর ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে আরও চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার করে। একই সাথে ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরোশাডাঙ্গা চক ইসবপুর গ্রামে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরির ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭), মো. মানিক শাহ (৪৫), মো. নজমুল হক (৬৫) ও মো. আমিনুল ইসলাম (৪৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ।
জানা যায়, শুক্রবার ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড সেন্সরের মাধ্যমে বুঝতে পারে বাংলাদেশ সীমান্তে পাইপ লিকেজ হয়েছে। পরে বাংলাদেশের পার্বতীপুর অয়েল হেড ডিপোতে জানালে তারা দ্রুত পাইপ চেক করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরোশাডাঙ্গা এলাকায় দেখতে পান মাটি ভেজা। তখন সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে লাইনম্যানরা মাটি খুঁড়ে দেখতে পান তেলের পাইপ ফুটো করা এবং সেটা ক্লিপ দিয়ে বন্ধ করা।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন থেকে তেল চুরি হয়েছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছয় ফুট গর্ত করা হয়েছে। ১০ ইঞ্চির মূল পাইপ ফুটো করে তাতে স্ক্রু লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি পৃথক চিকন পাইপ লাগানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই পাইপ দিয়ে তেল সরানো হয়েছে। এ ঘটনায় জমির মালিক, ইরি সেচ দেওয়া শ্যালো মেশিনের মালিকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে, আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে সরাসরি পাইপলাইনে তেল আমদানির জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়ির মার্কেটিং রেল টার্মিনাল থেকে পাইপলাইন শুরু হয়েছে। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে পাইপলাইনটি। এরপর শেষ হয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) রেলহেড অয়েল ডিপোতে। ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশ অংশে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার এবং ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার পড়েছে। গত ১৮ মার্চ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই পাইপলাইনের তেল সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।