অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জমা পড়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সব মনোনয়নপত্রকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান তালুকদার এ ঘোষণা দেন।
এর আগে আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন দিয়েছে দুজনকে।
গতকাল রবিবার সকালে জাপা এবং বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিল দল মনোনয়নপত্র দাখিল করে।
সংরক্ষিত নারী আসনে ৫০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমিশনের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বাছাইয়ে কারো নাম বাদ না পড়লেও বৈধ মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে কেউ চাইলে আপিল করতে পারবেন। আর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তির জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রাখা হয়েছে।
এরপর কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বৈধ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার এবং আগামীকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে কোনো আপত্তি-দাবি থাকলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আপিল করা যাবে।
আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ ফেব্রুয়ারি। তবে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে এই সময়ের পরই ঘোষণা হবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মামলার রায় প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে রায় হয়েছে তা রায় কার্যকর করার চেষ্টা সরকারের সব সময় থাকবে। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবে।
আজ ২ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ দিন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সব সময় থাকবে, সেটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করব।
তড়িৎ গতিতে বিচার করার অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এক দিকে বলা হয় যে, এখানে বিচার হয় না, কারণ সবকিছু অত্যন্ত স্থূল গতিতে চলে। আবার আরেকদিকে বলা হয়, বিচার তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে, তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো, এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে… শুধু একটি দোষী বা নির্দোষ-এটা আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। কথা হচ্ছে, দোষ যখন করেছে তখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাটা না করাই উচিত।
বিএনপিকে শেষ করে দিতে এসব রায় দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন বিএনপি যখন রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা।
বিএনপি বলছে এটি ফরমায়েশি রায়-এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই, আপনারাই জানেন। তারাই এই দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছে।
তারপরে হাইকোর্টে এই দুর্নীতি মামলা দায়েরের পরে যিনি আসামি তার পক্ষে যাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন সেটা নাকচ করে দিলেন, এরপর আপিল বিভাগে গেছেন ওনারা। আপিল বিভাগ নাকচ করার পরে এই দায়িত্ব বর্তায় বিচারিক আদালতে। এখানে তারা যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্যক ধারণা আছে কিনা আমার সন্দেহ, বলেন আইনমন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি নির্বাচনে ভোট দেয় তাহলে কে নির্বাচনে এলো আর কে এলো না সেটা বড় কথা থাকে না। জনগণের যে উচ্ছ্বাস, যে আনন্দ, যে ইচ্ছা এবং প্রত্যাশা এই নির্বাচন নিয়ে, সে কারণে আমি মনে করি নির্বাচন সফল হবে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে বিএনপি নির্বাচনে না এলে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমি দশ বছর কসবা-আখাউড়ার জনগণের সেবা করেছি। আমার কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, তা আমি রাখতে পেরেছি। আমি আমার জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছি এবং তারা আমাকে দোয়া করেছে। তাদের দোয়া নিয়েই আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে তিনি কসবা পৌর মুক্তমঞ্চে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে দোয়া নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ ও সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিকসহ দলীয় সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাজার হাজার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র কলার ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলা থেকে দিনভর সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ ও নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে প্রিয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় নবনির্বাচিত এমপি মঈন উদ্দিন মঈনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল আসতে থাকলে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মানুষ বিজয় মিছিল করে জননেতা মঈন উদ্দিন মঈনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব, বিনয়, সততা, স্পষ্টবাদিতা ও জনপ্রিয়তা এবং প্রার্থীর প্রতি তরুণ-যুবসমাজ আকৃষ্ট হওয়া ইত্যাদি কারণে মঈন উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঈন উদ্দিন মঈন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। ১৯৯০ সালের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের আলম-কামরুল-মেহেদী পরিষদে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হলেও এতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
আজ ২৬ মে শুক্রবার বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতোটা খুশি হতেন, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হওয়ায়। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই, জনগনকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাই।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে আমাদের মাঝে আছেন, তিনি আছেন বলে আমরা আশ্বস্ত হই, মানুষ আস্থা পায়। মানুষ বলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দুর্নীতি করতে পারেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মিথ্যা কথা বলেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা নিজের ভাগ্য উন্নয়ন বড় মনে করে না, জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন বড় মনে করেন। তিনি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন চান, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চান না। এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যখন মির্জা ফখরুলরা গালিগালাজের ভাষায় কথা বলে, হত্যার হুমকি দেন, বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট পায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে তোমাদের ভোট চলে যাবে। আরও কমে যাবে। কম কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।
তিনি বলেন, আমি বলব আপনার কাজ করে যান। আমাদের মধ্যে কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে সংশোধন করুন। তাকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করুন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন আর আমাদের নেতাকর্মীদের ভালো আচরণ, এ দুটা বিষয়ই নির্বাচনে জয় লাভের হাতিয়ার।
গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী চারটি সিটি নির্বাচন ও এগুলোর মতো জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে।’
২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮০টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিলঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে আজমত উল্লাকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা।